যারা আন্ডারগ্র্যাডে পড়ছো অনেক কনফিউশনে ভুগো কখন থেকে GRE, IELTS, রিসার্চ ইত্যাদির প্রিপারেশন শুরু করা উচিত তাদের জন্য কিছু পরামর্শ:
1st year: একাডেমিক পড়ায় ফুল মন দাও। CGPA ভালো রাখার ট্রাই করবা। স্কলারশিপ ফান্ডিংয়ের জন্য রেজাল্ট ভালো রাখা জরুরি। সাথে সাথে টুক টাক ভোক্যাবুলারি শিখতে পারো, ইংরেজী আর্টিকেল ও বই পড়ার অভ্যেস গড়ে তোমার এইটাই বেস্ট সময়। ইংলিশ রাইডিং হ্যাবিট ও কিছু বইয়ের লিস্ট পেতে এই লিখাটা পরে ফেলতে পারো। এই রিডিং হ্যাবিট অনেক কাজে দেবে GRE ভার্বালে ও IELTS এ। IELTS নিয়ে Scholarship school BD এর YouTube Channel এর এই প্লে লিস্টের ভিডিওগুলা দেখে নিতে পারো তখুনিই।
2nd year: একাডেমিক পড়ার পাশাপাশি একটু নেটে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে ঢু মারার অভ্যেস গড়ে তোলো। বিভিন্ন ভার্সিটি ও দেশের প্রফেসরদের প্রোফাইল দেখো তারা কি নিয়ে কাজ করতেছে বা কোন দেশের ভার্সিটিতে কি নিয়ে গবেষনা ভালো হয় এগুলা ওয়েবসাইট ঘেটে ঘেটে নিজে নিজে এক্সপ্লোর করা শুরু কর। আমাদের Scholarship school BD এর স্কলারশিপ পোস্ট গুলা ফলো করো, আমাদের হায়ার সটাডিজ ব্লগ গুলা পড়ো সম্যক আপ টূ ডেট ধারনা রাখার জন্য।
3rd year: যারা বেশ এডভান্সড তারা 3rd year এর শুরু বা মাঝে থেকেই থেকেই GRE এর verbal এর টুকটাক vocabulary, আর Reading Comprehension টা দেখা শুরু করতে পারো। এবং এই বছর থেকেই মন স্থির কর কি বিষয় নিয়ে তুমি ফাইনাল ইয়ার প্রজেক্ট বা থিসিস করবা। সেগুলা নিয়ে একটু ঘাটো নেটে। কনফারেন্স পেপার ও জার্নাল পেপার পাব্লিকেশন প্রসেস নিয়ে পড়াশুনা করো, জিজ্ঞাসা করো সিনিয়রদের, বা Scholarship School BD এর রিসার্চ পাব্লিকেশন নিয়ে লিখা গুলো পড়ো। এই বছরেই মোটামোটি রিসার্চ পাব্লিকেশন প্রসেস সম্পর্কে একটা আইডিয়া গড়ে তোলো।
4th year: ফোর্থ ইয়ারের শুরুর দিকে GRE এর ভার্বাল সিরিয়াসলি পড়া শুরু করো। কোয়ান্টের কিছু হাল্কা প্রিপারেশন শুরু করতে পারো ফোর্থ ইয়ারের মাঝের দিকে। IELTS /TOEFL এর প্রিপারেশন GRE এর পরে নিলে ইজি হয়।
রিসার্চ ফুল দমে করো, কনফারেন্স পেপার পাব্লিকেশনের ট্রাই করো থিসিসের কাজ শেষ হয়ে গেলে। তোমার সাব্জেক্টের বিভিন্ন দেশের প্রফেসরদের রিসার্চ প্রোফাইল সম্পর্কে কম্প্রিহেন্সিভ ধারনা বানাও নিয়মিত নেট ঘেটে, রিসার্চ পেপার পড়ে পড়ে। প্রফেসরদের ও ভার্সিটির মোটামোটি লিস্ট বানাতে শুরু করো যেন এপ্লিকেশনের সময় ইজি হয়।
যারা ফাইনাল এক্সামের পর প্রিপারেশন নিতে চাও
অনেকেই 4th year ফাইনাল এক্সাম দিয়ে তারপর GRE, IELTS প্রিপারেশন নেয়া শুরু করে। সেক্ষেত্রেও চেষ্টা করো যেন হাতে টানা ৩ থেকে ৬ মাসের একটা ফ্রি প্রিপারেশন টাইম বের করতে পারো। পার্সন টু পার্সন ভেদে এই টাইমফ্রেইম বাড়তে বা কমতে পারে। সবার বেলায় একই রুলস বা ট্রিক্স যে খাটবে তা জরুরি না। তাই নিজের সুইটেবল পয়েন্ট নিজেকেই তোমার আইডেন্টিফাই করে সেই মোতাবেক প্ল্যান করা উচিত।
প্রফেসর ম্যানেজ করা ও ইমেইল করা
প্রফেসর ম্যানেজ করা একটা দীর্ঘ মেয়াদি প্রসেস। অনেকে ৫০০-৬০০ ইমেইল দিয়েও ম্যানেজ করতে পারে না কাউকে, আবার অনেকের আরো কমেই ক্লিক করে। এটার জন্য যেমন একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড ভূমিকা রাখে ঠিক তেমনি ভাগ্যেরও হাত আছে। যদি তুমি ভাগ্য বিশ্বাস না কর, আমি নিশ্চিত প্রফেসর ম্যানেজিং ও ইমেইলিং করা শুরুর পর থেকে বিশ্বাস করবে। অনেক ভালো প্রোফাইল নিয়েও অনেকে ফান্ড পায় না, আবার দেখা যায় পরের বছর তার থেকে খারাপ প্রোফাইলের স্টুডেন্টও ফান্ডিং পেয়ে গেছে। ফান্ডিং এভেইলেবিলিটি প্রফেসরদের সব সময় প্রতি বছর এক থাকে না। ভাগ্যের সাথে যখন তোমার প্রচেষ্টা ও একাডেমিক কোয়ালিফিকেশন একসাথে ক্লিক করবে তখুনিই প্রফেসর ম্যানেজ করতে পারবা।
যাই হোক, ফাইনাল এক্সামের আগেই নিজ নিজ সাবজেক্ট রিলেটেড প্রফেসরদের লিস্ট বানানো শুরু করে দেয়া উচিত ও আলাদা এক্সসেল ফেলে সেইভ করে রাখা উচিত। চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল এক্সাম দেয়ার পরেই ইমেইল দেয়া শুরু করে দেয়া উচিত রেজাল্টের অপেক্ষায় না থেকে। GRE, IELTS দিয়ে রেজাল্ট পাওয়া মাত্রই লিস্টের ক্রম অনুযায়ী ইমেইলিং শুরু করে দেয়া উচিত। মনে রাখবে যে সেমিস্টারে এপ্লাই করবে তার মিনিমাম ৯-১২ মাস আগে থেকেই প্রফেসরদের ইমেইলে নক দেয়ার প্রসেস শুরু করে দেয়া উচিত। প্রথম মাসেই যে রেস্পন্স পাবে পজিটিভ তাতো আর না। অনেক ধৈর্য লাগবে। ইমেইলের প্রতিটা নোটিফিকেশনের সাউন্ডে বুক ধক ধক করে উঠবে, এই বুঝি মনে হবে প্রফেসর রিপ্লাই দিয়েছে। এইসব সময় আমরা সবাই পার করে আসছি। ডোন্ট ওয়ারী, তোমারও করা লাগবে। প্রফেসরদের ইমেইলিং করা নিয়ে বিস্তারিত গাইডলাইন এই ভিডিও গুলায় পেয়ে যাবে।
আরেকটা ব্যাপার GRE এর ভ্যালিডিটি ৫ বছর আর IELTS/TOEFL এর মাত্র দু বছর। এজন্য IELTS/TOEFL এর প্রিপারেশন গ্রাজুয়েশনের আগে নিলেও, এক্সাম দিও একেবারে ফাইনাল এক্সাম দিয়ে, ফ্রি হয়ে তারপর। না হলে ২ বছর এর টাইম লিমিটের মধ্যে কয়েক মাস এমনিই খেয়ে যাবে আগে ভাগে দিয়ে এক্সাম দিয়ে ফেললে। লিখাটি ব্যবহার করতে চাইলে, অবশ্যই লেখকের নাম, ও প্রতিষ্ঠান এর যথাযথ ক্রেডিট সহকারে করতে হবে।
লিখাটি লিখেছেন:
Md Nazmul Hasan Topu, Founder, Scholarship School BD
PhD researcher, Electrical & Computer Engineering
University of British Columbia, Vancouver, Canada
লিখাটি শেয়ার করুন ও ইউটিউবে আমাদের টিপস গুলি ফলো করুন। প্রতিদিন স্কলারশিপ নিউজ, ও প্রফেসর ফান্ডিং টিপস, IELTS, GRE টিপস পেতে এখুনি জয়েন করুন Scholarship School BD Website: www.sschoolbd.com
Comments