কানাডাতে কেন পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি (PR) পাওয়ার জন্য এত অধীর আগ্রহ থাকে সবার? সুবিধাগুলির দিকে তাকালেই বোঝা যায়। কানাডিয়ান PR হিসেবে যে সুবিধা গুলি পাবেন:
১. আপনার ১৮ বছরের নিচে সকল বাচ্চাদের জন্য চাইল্ড কেয়ার বেনিফিট হিসেবে মাসে মাসে কিছু টাকা সরকার আপনাকে দেবে
২. বাচ্চাদের হাই স্কুল স্কুল পর্যন্ত শিক্ষা দীক্ষা একদম ফ্রি! বিশ্বমানের শিক্ষা ফ্রিতে পাবে আপনার বাচ্চারা একদম ইউনিভার্সিটিতে উঠার আগে পর্যন্ত!
৩. একটা নির্দিষ্ট সীমার কর্ম-ঘণ্টা পূরণ হলে, আপনি এমপ্লয়মেন্ট ইনসিওরেন্স এর জন্য বিবেচিত হবেন। অর্থাৎ আপনার চাকুরী চলে গেলে কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে সরকার আপনাকে উল্টা বেকারত্ব ভাতা দেবে!
৪. দাঁত ও চোখ ছাড়া অন্যান্য সকল মেডিকেল খরচ সম্পূর্ণ ফ্রি! আপনার সার্জারি থেকে শুরু করে, ডাক্তার দেখানোর খরচ সকল কিছুই হেলথ ইনসিওরেন্স বহন করবে
৫. কানাডা ডুয়াল সিটিজেনশিপ এলাউ করে। আপনি PR হিসেবে এমনকি সিটিজেনশিপ পেয়ে যাবার পরেও বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বহাল রাখতে পারবেন
৬. বিশ্বের সবচাইতে নিরাপদ, ও রেসিজম-ফ্রি একটা সমাজ ব্যবস্থায় থাকতে পারার সুবিধা
৭. আপনি PR এর এপ্লিকেশন করলে, সপরিবারে মানে স্পাউস ও সন্তান সহ ক্যানাডিয়ান PR দেয়া হয়! কিন্ত আপনার স্পাউসের IELTS ম্যান্ডেটরি না!
৮. PR হলে আপনি যদি কানাডায় ভার্সিটিতে হায়ার স্টাডি করতে চান (মাস্টার্স/পিএইচডি) আপনি এমন কিছু স্কলারশিপের জন্য বিবেচিত হবেন যেগুলাতে কোনো ইন্টার্ন্যাশনাল স্টুডেন্ট হাজার মেধাবী হলেও এপ্লাই করতে পারে না। সেগুলো শুধুই PR স্টুডেন্টদের জন্য সংরক্ষিত!
৯. কিছু জব আছে যেগুলোয় PRদের প্রাধান্য দেয়া হয় ইন্টারন্যাশনালদের চেয়ে
১০. PR স্ট্যাটাস ধরে রাখার জন্য টানা আপনাকে কানাডায় থাকার প্রয়োজন নাই। পর পর পাঁচ বছরের পিরিয়ডের মধ্যে মোট-মাট ৭৩০ দিন (দু বছর পূরণ) হলেই PR স্ট্যাটাস ভ্যালিড থাকবে। আর তিন বছর পূরণ হলেই ডিরেক্ট ক্যানাডিয়ান সিটিজেনশিপের এপ্লাই করতে পারবেন! যাদের দেশে অনেক বিজনেস বা অন্যান্য কাজকর্ম সামলাতে হয় তাদের জন্য এদিক থেকে সুবিধা!
এছাড়াও আরো ছোটখাটো অনেক সুবিধাই আছে।
আপনি যদি ডাক্তার/অনার্স/মাস্টার্স হোল্ডার হয়ে থাকেন, এবং বিশ্বের যেকোন দেশে ২-৩ বছরের জব করার এক্সপেরিয়েন্স থাকে (বাংলাদেশ সহ), তাহলে কানাডার এক্সপ্রেস এন্ট্রির Federal Skilled Worker ক্যাটাগরির আওতায় এপ্লাই করে ফেলুন।
ইমিগ্রেশনের জন্য সব অনলাইনে নিজে নিজেই দেশে বসেই করতে পারবেন। কম্পিউটারের সামনে বসে দীর্ঘ সময় ধরে ফর্ম ফিলাপ ও ডকুমেন্ট প্রসেসিং/আপ্লোডিং করার সময় ও শ্রম টুকু বের করতে পারলেই নিজে নিজেই এপ্লাই করা যায়।
আর সব রকম সহযোগিতার জন্য আপনাদের পাশে Scholarship School BD আছে । জয়েন করুন Scholarship School BD ফেসবুক গ্রূপে, এবং বন্ধুদেরও ইনভাইট করুন। কোনো সহায়তার জন্য ইমেইল করুন (sschoolbd@gmail.com) অথবা Scholarship School BD এর প্রতিষ্ঠাতা Md Nazmul Hasan কে ইনবক্স করুন।
পোস্টটি শেয়ার করুন!!ধন্যবাদ!!
লিখাটি লিখেছেন:
Md Nazmul Hasan Topu, Founder, Scholarship School BD
PhD researcher, Electrical & Computer Engineering
University of British Columbia, Vancouver, Canada
লিখাটি ব্যবহার করতে চাইলে, অবশ্যই লেখকের নাম, ও প্রতিষ্ঠান এর যথাযথ ক্রেডিট সহকারে করতে হবে।
লিখাটি শেয়ার করুন ও ইউটিউবে আমাদের টিপস গুলি ফলো করুন। প্রতিদিন স্কলারশিপ নিউজ, ও প্রফেসর ফান্ডিং টিপস, IELTS, GRE টিপস পেতে এখুনি জয়েন করুন Scholarship School BD Website: www.sschoolbd.com
Comments